জান্নাতুল
বুশরা বালিকা মাদরাসা
তেলিয়া, শিবপুর, নরসিংদী
অভিভাবকদের জন্য পালনীয় বিষয়সমূহ
v আমরা
একমাত্র আল্লাহ তায়া’লার সন্তুষ্টির জন্য সন্তানকে হাফেজ/আলেম বানাতে মাদরাসায়
দিয়েছি।
v
এলেম বড় দামি নেয়ামত, যা আল্লাহ
তায়া’লার সন্তুষ্টির মাধ্যমে পাওয়া যায়।
v
এলেম অর্জন করা, হাফেজ হওয়া,
অথবা হাফেজ ও আলেমের মা-বাবা হওয়া সত্যিই ভাগ্যের বিষয়।
v
আমি মুসলিম হিসেবে আমার কর্তব্য
হলো, আমার সন্তানকে সত্যিকার মুমিন ও সভ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে আল্লাহ ও
রাসূলের তরীকা অনুযায়ি নামাজী ও পর্দা ওয়ালা জিবন-যাপনে অভ্যস্ত হওয়া এবং
সন্তানকেও ঐভাবে অভ্যস্ত করা।।
v
উস্তাদ ও অভিভাবক পরস্পর
যোগাযোগের মাধ্যমে সন্তানকে সত্যিকার মুমিন ও সভ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সহযোগীতা
করতে হবে।
v
সচেতন অভিভাবক হিসেবে
প্রতিষ্ঠানের সকল উস্তাদ ও স্টাফের সাথে অশোভনীয় কোন আচরণ হতে বিরত থেকে সদা
সদ্ভাব বজায় রাখতে হবে।
v
কোন অভিযোগ থাকলে সরাসরি
মোহতামিম সাহেবের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
v
প্রতি চলতি মাসের ১-৫ তারিখের
মধ্যে মাদরাসার যাবতিয় প্রদেয়(বেতন,বোর্ডিং চার্জ,আবাসিক চার্জ,বিদ্যুৎ বিল ও
অন্যান্য ফি) পরিশোধ করতে হবে।
v
উস্তাদদের সাথে পুরুষ
অভিভাবকদের যোগাযোগ করার অনুরোধ রইল।
v
প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার সকাল ৮
টার পরে অভিভাবকগণ ছাত্রদের সাথে স্বাক্ষাৎ করতে পারবেন। এছাড়া প্রয়োজনে বাদ আছর থেকে
মাগরিবের ২০ মিনিট পূর্ব পর্যন্ত উস্তাদ সাহেবান ও ছাত্রদের সাথে সাক্ষাৎ করা যাবে। এবং মাদরাসায় এসে সন্তানের
সাথে বেশি সময় দিবেননা।
v
প্রতি মাসে অন্তত একবার ছাত্রের
পড়া-লেখার খবর নিতে হবে, পড়া-লেখার অগ্রগতি ও অবনতি সম্পর্কে উস্তাদ ও মোহতামিম
সাহেবকে অবহিত করতে হবে। এবং বাৎসরিক অভিভাবক
সমাবেশে মূল অভিভাবক অবশ্যই আসতে হবে।
v
মহিলা অভিভাবকগণের প্রতি
বিশেষভাবে অনুরোধ, শরয়ি পর্দা মেনে আসবেন এবং নির্ধারিত স্থানে অবস্থান করবেন। ছাত্রাবাসে প্রবেশ করবেন না। স্থানের সঙ্কির্ণতার কারণে
যথাসম্ভব মহিলা অভিভাবকগণ কম আসা-যাওয়া করাই শ্রেয়। একান্ত যাদের না আসলেই নয়
মেহেরবানীপূর্বক স্বল্প সংখ্যা হওয়া কাম্য এবং সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে সাক্ষাৎ শেষ
করা বাঞ্ছনিয়।
v
নির্ধারিত ছুটির সময় অভিভাবক
নিজে এসে ছাত্রকে নিয়ে যাবেন এবং নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই মাদরাসায় নিজ দায়িত্বে
ছাত্র-ছাত্রিদেরকে বিভাগিয় শিক্ষকের কাছে পৌঁছে দিবেন।
v
মাদরাসা ছুটিকালীন সময়ে আমলী ফরম
অনুযায়ী সন্তান চলে কিনা এ ব্যপারে দায়িত্ববান হবেন।
v
মাদরাসার ছুটি ব্যতিত অযথা
বাড়িতে নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এবং হিফজ বিভাগের ছাত্রদের জন্য সবকের পারা শোনানো শেষ
হলে প্রয়োজনে ছুটি নিতে পারবেন। অন্যথায় ছুটি নেওয়া যাবেনা।
v
ছাত্রদেরকে মাদরাসায় এবং বাড়িতে
মোবাইল বা ইলেক্ট্রিক কোন ডিভাইস দিবেন না। এবং গেমস খেলা থেকেও তাদেরকে বিরত রাখবেন। বিশেষ করে মাদরাসার ভিতরে গেমস খেলার জন্য টাচ মোবাইল
দিবেন না।
v
কোন ছাত্র-ছাত্রী অমনোযোগী হলে,
মাদরাসায় প্রায় সময় অনুপস্থিত থাকলে অথবা পরিক্ষায় ফেল করলে তাকে পরবর্তী বছর
ভর্তি নেওয়া হবে না।
v পুরাতন
ছাত্র-ছাত্রীদের রমজানের মধ্যেই ভর্তি হতে হবে। অন্যথায় ভর্তি কোটা পূর্ণ হয়ে
গেলে আর ভর্তি হতে পারবে না। এতে অভিভাবকেরও আপত্তি করার কোন সুযোগ থাকবে না।
v নির্ধারিত
ছুটি ব্যতিত প্রয়োজনে লিখিতভাবে মাসে ১ দিনের জন্য (বৃহস্পতিবার-শুক্রবার) ছুটি নেওয়া যাবে। বিশেষ প্রয়োজনে অনিয়মিত ছুটি
নিতে হলে অভিভাবকের পক্ষ থেকে ২৪ ঘন্টা পূর্বে আবেদন করতে হবে। এবং মাসে বিশেষ প্রয়োজন ব্যতিত
একবারের অধিক ছুটি নেওয়া যাবেনা।
উপরের সকল বিষয় মেনে
নিজ সন্তানের উন্নতিকল্পে আমাদের সহযোগীতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ রইল।
বি.দ্র. আপনার প্রিয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে আপনার আন্তরিক দোয়া ও সহযোগীতা একান্তভাবে কাম্য।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন