Ronald Robertson

হোসাঈনাবাদ মদিনাতুল উলুম মাদরাসা

একটি কওমী মাদরাসা

পরিচিতি

মাদরাসার পরিচিতি

মাদরাসার পরিচিতি

ভূমিকা

যে জাতি যত বেশী শিক্ষিত সে জাতি তত বেশী উন্নত। শিক্ষাই মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে পরিচালিত করে। আদর্শ সমাজ বিনির্মানে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। তবে এই শিক্ষা অবশ্যই হতে হবে কুরআন-সুন্নাহ্ ভিত্তিক আদর্শ ইসলামী শিক্ষা। এ দর্শনের আলোকে ১৮৬৬ সালে পশ্চিমা শিক্ষা ব্যবস্থা ও সাংস্কৃতির বিরুদ্ধে মুসলমানদের সতর্কীকরণ ও শিক্ষা সাংস্কৃতিকে কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক পরিচালনার নিমিত্তে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্বখ্যাত ইসলামী বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দ। স্বল্প সময়েই যার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বময়।

শতাব্দী ব্যাপী এই দারুল উলুম স্বীয় লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে অগনিত মহাপুরুষ সৃষ্টি করে যাচ্ছে অবিরত। যারা পৃথিবীব্যাপী সফলভাবে ইসলামের বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন। উপমহাদেশসহ আমাদের দেশেও কওমী মাদ্রাসাগুলো এই দারুল উলুম দেওবন্দেরই দুর্নিবার চেতনায় উজ্জীবিত ও শানিত খাঁটি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের মাদ্রাসাটিও এর অন্যতম একটি।

নাম ও অবস্থান

পূর্ণ নামঃ হোসাঈনাবাদ মদিনাতুল উলুম মাদরাসা

অবস্থানঃ বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগ অন্তর্গত নরসিংদী জেলাস্থ শিবপুর থানার তেলিয়া নামক গ্রামে অপরূপ সৌন্দর্য বেষ্টিত স্থানে মাদরাসার অবস্থান।

প্রতিষ্ঠাতা ও মুহতামিমঃ আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আমান উল্লাহ সাহেব দাঃ বাঃ।

প্রতিষ্ঠাকালঃ ১৯৯৩ ইং সনে মাদরাসার প্রতিষ্ঠা হয়।

সূচনা

মানুষকে মনুষত্ব শিখাবার জন্য ইসলামী শিক্ষা অপরিহার্য। কিন্তু আমাদের এই তেলিয়া/কুমরাদী এলাকায় ইসলামী শিক্ষার এতটাই অভাব যে শতকরা ৯৮ জন মানুষের কুরআনে কারীমের তেলোয়াতই অশুদ্ধ ছিল। তাই ১৯৯৩ সালে এই এলাকারই কৃতিসন্তান আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুহা আমান উল্লাহ সাহেব খুব স্বল্প পরিসরে ছোট্ট একটি ঘরে শুরু করেন মাদরাসার যাত্রা। সেখান থেকেই শুরু। সন্দীপ এর পীর সাহেব মাওলানা ইদ্রীস (রহঃ) এর নেক নজর ও দোয়া সাথে মুহতামিম সাহেবের রাত-দিন কল্পনাতীত পরিশ্রমের বদৌলতে বর্তমান পর্যায়ে এসে দাঁড়ায় এই প্রতিষ্ঠানটি।

পরবর্তিতে রাসুল সাঃ এর হাদিস "طلب العلم فريضة على كل مسلم" (প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর ইলমে দ্বীন শিক্ষা করা ফরজ।) এর দিকে লক্ষ করে দ্বীনি-ইলমের শিক্ষা মেয়েদের জন্যও প্রসারিত করা হয়। ২০০৪ সালে প্রাথমিক ভাবে মেয়েদের জন্য ছেলে মাদরাসার ৩০০ ফিট দূরে মহিলা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। যার নাম “জান্নাতুল বুশরা বালিকা মাদরাসা” কিছুদিনের মধ্যেই সর্বমহলে মাদরাসার ব্যাপক নাম ডাক পরে যায়। এবং এখন পর্যন্ত মাদরাসার সুনাম-সুখ্যাতি ও ইলমের সুবাস ছড়িয়ে যাচ্ছে। এখানে বর্তমানে ৩০০ জন ছাত্রী নিয়মিত লেখাপড়া করে যাচ্ছে। বর্তমানে মিশকাত জামাত পর্যন্ত আছে। অচিরেই দাওরায়ে হাদিস (মাষ্টার্স) ক্লাস চালু করা হবে ইনশা আল্লাহ।

শরয়ী পর্দা রক্ষা করার জন্য ১৮ জন শিক্ষিকা দ্বারা পরিচালনা করা হয়। এমনকি গেইটম্যান পর্যন্ত মহিলা দ্বারা পরিচালিত। এবং চারিদিকে সু-উচ্চ দেয়াল দ্বারা সম্পুর্ণ ভাবে পরিবেষ্টিত।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ). আইম্মায়ে মুজতাহিদীন আকাবিরেদ্বীন ও সালাফে সালেহীনের গবেষণালব্ধ জ্ঞানের আলোকে কুরআন ও সুন্নাহর পরিপূর্ণ তালীম দান। ইলমে দ্বীন হাসিলের সাথে সাথে নেক আমল ও আখলাকে নববীর আলোকে শিক্ষার্থীদের জীবন গড়ে তোলার মাধ্যমে এমন একদল উলামা গঠন করা যাঁরা সাহাবায়ে কিরাম ও আকাবিরে উম্মতের কৃতজ্ঞ উত্তরসূরী হিসাবে ওরাসাতে নববীর দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে।

যুগ সচেতনতার সাথে সাথে কুরআন ও সুন্নাহর শিক্ষা প্রদান এবং শিক্ষার্থীর লিখনী ও বাক শক্তির স্ফুরন ঘটানোর জন্যে প্রশিক্ষণ দান করা যেন শিক্ষার্থীগন যুগ-জিজ্ঞাসার উত্তর প্রদান ও স্ব-স্ব যুগের সমূহ বাতিল ইজম ও মতবাদের বিরুদ্ধে ইসলামের আদর্শ ও শিক্ষা আকর্ষনীয় ভাবে তুলে ধরার মাধ্যমে একজন খাঁটি মুবাল্লিগের দায়িত্ব আঞ্জাম দিতে সক্ষম হয়। উপরোক্ত উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে সামনে রেখেই মাদরাসার তা’লীম ও তরবিয়াতের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

Dark Template